মহাকাশ

International Space Station (ISS) বা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন

International Space Station(ISS) বা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আসলে কোন স্টেশন না, এটি একটি বিশাল মহাকাশযান। অন্যভাবে বললে আবার একে কৃত্রিম উপগ্রহও বলা যায়।  যেটা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ২২০ মাইল উপরে একটি অক্ষপথ ধরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে বেড়াচেছ।  এই মহাকাশযানে মহাকাশবিজ্ঞানীরা একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে সেখানে বসবাস করেন এবং মহাকাশ বিষয়ক গবেষণা করেন। এই গবেষণাগুলো মূলত NASA- ই পরিচালনা করে থাকে। এ ধরণের গবেষণার মূল উদ্দেশ্য মহাকাশকে আরও ভালোভাবে চেনা জানা।

1591424484741
Image source: NASA

১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর কাজাখিস্তানের বাইকোনর কসমোড্রম হতে প্রোটন কো নামক একটি রুশ রকেটের মাধ্যমে পাঠিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। তবে পুরোটি একবারে পাঠানো হয়নি প্রায় ৩০ ধাপে পাঠানো হয়েছে। এটার কাজ পুরোপুরিভাবে শেষ হতে ২০১১ সাল পর্যন্ত লেগে যায়।

এর নিয়ন্ত্রক হিসেবে ১৬ টি দেশ কাজ করে যথাক্রমে আমেরিকা, রাশিয়া,ব্রাজিল,কানাডা, জাপান, ইংল্যান্ড, স্পেন, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ডেনমার্ক,ইতালি,নেদারল্যান্ড,সুইডেন,জার্মানী,সুইজারল্যান্ড,নরওয়ে।

জেনে রাখার বিষয় মানুষের তৈরি সবচেয়ে ব্যায়বহুল বস্তু এটি যার জন্য প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে।

এই স্যাটেলাইটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩৯.৪ ফুট, প্রস্থ ৩৫৭.৫ ফুট এবং এর ভর ৪১৯৭২৫ কেজি। প্রায় ২১ বছর ৬ মাস ১৫ দিন ধরে মহাকাশে অবস্থান করছে। এটি ঘন্টায় ২৭,৬০০ কি.মি বেগে আবর্তন করে এবং আবর্তন কাল ৯২.৬৪ মিনিট। আই এস এস একদিনে ১৫.৬৪ বার পৃথিবিকে আর্বতন করে যে কারনে। এটি পৃথিবি হতে ৪০৮ কি.মি দূরত্বে অবস্থিত।

মজার ব্যাপার হলো খালি চোখেই একে দেখা যায়।বর্তমানে এর ক্রু সংখ্যা ৬। পৃথিবিতে করা সম্ভব নয় এমন গবেষনা স্পেস স্টেশনে করা হয়। ডিসেম্বর ২০১৮ তে জানানো হয় ২০৩০ সাল পর্যন্ত এর ব্যবহার সীমা বর্ধিত করা হয়েছে।

প্রোটন কে,স্পেস শাটল, ফ্যালকন ৯ এর মাধ্যোমে এখানে ক্রু এবং রসদ পাঠানো হয়। এই বিশাল পরিমান খরচকৃত অর্থ ১৬ টি দেশই বহন করে।

মহাকাশ স্টেশন আসলে একটি বিশাল বাড়ি। যা বেশ কয়েক খণ্ডে বিভক্ত। প্রতিটা খণ্ড এতো বড় ও ভারী যে রকেটে করে এগুলোকে একবারে নেয়া যায় না। এমনিতেও মহাকাশ স্টেশন বেশ বড়ই হয়।

প্রায় একটি পাঁচ বেডরুমের বাসার সমান! সেই সঙ্গে দুটা বাথরুম, জিমনেসিয়াম থাকলে যত বড় হতে পারে তত বড়! তবে শুধু থাকার জন্যই কিন্তু মহাকাশ স্টেশন করা হয় নাই। ওখান থেকে গবেষণা চালানো হয়। তাই, গবেষণাগার, যন্ত্রপাতি ইত্যাদিতে ঠাসা থাকে পুরা মহাকাশ স্টেশনটা। পুরা জিনিসটা আসলে একটা ফুটবল মাঠের সমানই বড় হয়।

Facebook Comments

Related Articles

Back to top button