অন্যান্য

যেভাবে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করবেন

যাদের জমি রয়েছে, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিকানার অংশ হিসাবে জমি পেয়েছেন, তাদের সবার জন্য ভূমি কর দেয়া বাধ্যতামূলক। প্রতিবছর সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে ভূমি কর জমা দিয়ে রসিদ নিতে হয়। তবে এখন থেকে এই কর অনলাইনেই দেয়া যাবে।

বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশন মনিটরিং সেলের প্রধান ও উপ-সচিব ড. মোঃ জাহিদ হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘ভূমি কর দেয়ার জন্য আগে ভূমি অফিসে যেতে হতো। কিন্তু এখন ঘরে বসেই যে কেউ তার জমির কর পরিশোধ করতে পারবেন।”

যেভাবে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যাবে

ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে।

প্রথমে ভূমির মালিককে এই অ্যাপের সঙ্গে নিজেকে নিবন্ধন করতে হবে। একবার নিবন্ধিত হলে তার পরবর্তীতে আর নিবন্ধন প্রয়োজন হবে না।

তিনটি প্রক্রিয়ায় এই নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে:

১. Land.gov.bd অথবা ldtax.gov.bd এই পোর্টালে প্রবেশ করে জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম তারিখ ও মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

২. ভূমি মন্ত্রণালয়ের কল সেন্টার ৩৩৩ অথবা ১৬১২২ নম্বরে ফোন করে এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, ফোন নম্বর ও জমির তথ্য প্রদান করে।

৩. যেকোনো ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসে এনআইডি কার্ড, জন্ম তারিখ ও খতিয়ান নম্বর ব্যবহার করে।

নিবন্ধনের পর এই পোর্টালে লগইন করে অথবা ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসে গিয়ে ভূমির উন্নয়ন কর দিতে পারবেন। এই সময় বিকাশ বা নগদের মতো মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করে করের টাকা পরিশোধ করা যাবে।

কর দেয়ার পর ইমেইলে অটোমেটিক একটি জমার রসিদ চলে আসবে। এটিই ভূমি উন্নয়ন করের রসিদ।

অনলাইনে কর দেয়া হলে কি তা সংশ্লিষ্ট অফিসে অন্তর্ভুক্ত হবে?

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশন মনিটরিং সেলের প্রধান ও উপ-সচিব ড. মোঃ জাহিদ হোসেন বলছেন, যারা অনলাইনে ভূমি কর দেবেন, সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার জমির অনুকূলে তালিকাবদ্ধ হয়ে যাবে।

তিনি জানান, এই সংক্রান্ত সব কার্যক্রম তারা সম্পন্ন করেছেন। যারাই এখন পোর্টালে নিজেদের নিবন্ধন করবেন, তারা নিশ্চিন্তে ভূমি কর দিতে পারবেন। দেশের সব গ্রাম-তৃণমূলের ভূমি অফিস এই নেটওয়ার্কের আওতায় চলে এসেছে।

ফলে মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করে ভূমি কর দেয়া হলে আর অফিসে যাওয়ার দরকার হবে না। এখন যেভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বিদ্যুৎ, পানি বা গ্যাসের বিল দেয়া হয়, এটিও সেইরকম একটি ব্যাপার, বলছেন মি. হোসেন।

তবে ভবিষ্যতে কোন কারণে কোনরকম সমস্যার তৈরি হলে ইমেইলে যে ভূমি কর দেয়ার রসিদ আসবে, সেটাই সমাধানে কাজ করবে।

২০১৯ সাল থেকে অনলাইনের মাধ্যমে জমির নামজারি, নামজারি বিষয়ক আপত্তি সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পরীক্ষামূলকভাবে ই-রেজিস্ট্রেশন ও ই-মিউটেশন চলছে। শীঘ্রই দেশব্যাপী এটি চালু করার আশা করছেন কর্মকর্তারা।

Facebook Comments

Related Articles

Back to top button