অন্যান্য

প্রথমবারের মতো ই-সিম নিয়ে এলো গ্রামীণফোন

টেক সার্ভিস লিডার ও ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন দেশে প্রথমবারের মতো ই-সিম চালু করেছে।

আগামী ৭ মার্চ থেকে ই-সিম দেশের বাজারে পাওয়া যাবে বলে মঙ্গলবার (১ মার্চ) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।

বিশ্বজুড়েই যুগান্তকারী ডিজিটাল রূপান্তরসহ পরিবেশগত সুবিধা প্রদানে প্রভাবক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ই-সিম (এমবেডেড সিম)। অত্যাধুনিক কানেক্টিভিটির ভবিষ্যতমুখী বিভিন্ন ফিচারসহ, ই-সিম ডিজিটাল যুগে নানা সম্ভাবনা উন্মোচন কাজ করবে।

‘ফোরজি ই-সিম: পরিবেশবান্ধব ডিজিটাল সিমের এখনই সময়’ স্লোগানে গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা এখন ই-সিম সমর্থন করে এমন ডিভাইসে, প্লাস্টিক সিম কার্ড ছাড়াই কানেক্টিভিটির সম্পূর্ণ সুবিধা উপভোগ করতে পারবে। গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উদ্ভাবনকে অবশ্যই জলবায়ুর সংক্রান্ত বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হবে এবং এক্ষেত্রে পৃথিবীকে রক্ষা করতে প্রতিটি পদক্ষেপই গুরুত্বপূর্ণ।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে পরিবেশবান্ধব বিষয়গুলোর ওপর সবসময়ই গুরুত্বারোপ করে গ্রামীণফোন।

ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ই-সিমের ব্যবহার বেড়ে হবে ৩.৪ বিলিয়ন।

গ্রামীণফোনের নতুন ই-সিম সংযোগ পেতে হলে ক্রেতাদের ই-সিম সমর্থন করে এমন ডিভাইস নিয়ে গ্রামীণফোনের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) এবং নির্ধারিত গ্রামীণফোন সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করে ই-সিমের জন্য অনুরোধ করতে হবে। সিম কেনার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গ্রামীণফোনের অনলাইন শপের মাধ্যমেও ই-সিমের জন্য অনুরোধ করা যাবে। ই-সিম সমর্থন করে এমন ডিভাইসে থাকা ক্যামেরা দিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করে ই-সিম সক্রিয় করতে ইন্টারনেট সংযোগ (মোবাইল ডাটা অথবা ওয়াইফাই) চালু করতে হবে। এর ফলে, প্রচলিত সিম কার্ডে যে ঝামেলা রয়েছে তা দূর হবে।

বহু নেটওয়ার্ক এবং নম্বর একটি ই-সিমে সংযুক্ত করা যাবে; তবে এটি নির্ভর করবে হ্যান্ডসেটের ওপর। এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়েই নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি সেবা নিশিচত হবে। গ্রাহকরা ই-সিমে একাধিক নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন, যা ভ্রমণকারীদের জন্য আরো স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসবে। সল্যুশনটি যেহেতু ডিভাইসের সঙ্গে এমবেড করা থাকবে, তাই এক্ষেত্রে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কিছু করার প্রয়োজন হবে না। ব্যবহারকারীদের তথ্য ডিজিটাল ফরম্যাটে স্টোর করা থাকবে বলে ই-সিম উন্নত নিরাপত্তা দেবে।

অপ্টিমাইজেশনের যুগে, ই-সিম প্রচলিত সিম কার্ড ও ট্রে’র ধারণাকে অকার্যকর করে ফেলবে। ফলে এর মাধ্যমে অবশিষ্ট জায়গায় ফোনের ব্যাটারির আকার বাড়বে কিংবা হ্যান্ডসেটে আরো ফিচার যুক্ত করা যাবে। ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে বলে সিম কার্ড হারিয়ে যাওয়ার কোনো ঝুঁকিই থাকবে না; একইসঙ্গে সিম পিনের ঝামেলা থেকেও গ্রাহকরা রক্ষা পাবেন।

Facebook Comments

Related Articles

Back to top button