চিকিৎসা

চোখ ওঠা রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করল কেন? এর থেকে পরিত্রাণের উপায়।

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে চোখ ওঠা রোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরিবারের একজনের এই রোগ হলে সকল সদস্যদের হচ্ছে। চোখের বাইরের দিকের আবরণ কনজাংকটিভার (কর্নিয়ার পাতলা স্বচ্ছ আচ্ছাদন) প্রদাহকে সাধারণভাবে ‘চোখ ওঠা’ বলা হয়। কনজাংকটিভাইটিস মূলত ছোটদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।

এটি কীভাবে ছড়ায়?

চোখে ভাইরাস দিয়ে প্রদাহ হলে চোখের পানিতে ভাইরাস ভেসে বেড়ায়। চোখ থেকে এটি হাতে আসে। এরপর সেই হাত দিয়ে আমরা যা স্পর্শ করি, সেটি সংক্রমিত হয়ে পড়ে। যেমন কারও সঙ্গে করমর্দন, টিভি, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা টেলিভিশনের রিমোট, তোয়ালে, বিছানার চাদর, বালিশের কভার, এমনকি মুঠোফোন ইত্যাদির মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

উপসর্গসমূহ

  • সংক্রমিত চোখের সাদা অংশটি গোলাপি বা লালচে হয়ে ওঠে।
  • চোখ দিয়ে পানি পড়ে।
  • চোখ জ্বলে ও চুলকায়।
  • চোখে অতিরিক্ত পিঁচুটি আসে।
  • চোখের পাতা ও কনজাংকটিভা ফুলে ওঠে।
  • চোখে দেখতে অসুবিধা হয়।
  • আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা।
  • সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় চোখের পাতায় চটচটে পদার্থ লেগে থাকে।

চোখ উঠলে কী করবেন?

  • সংক্রমিত চোখ স্পর্শ করবেন না।
  • কিছুক্ষণ পর পর হাত ভালো করে ধুতে হবে।
  • নিজের তোয়ালে ও প্রসাধন দ্রব্য অন্য কাউকে ব্যবহার করতে না দেওয়া।
  • আক্রান্ত ব্যক্তিকে ১ থেকে ২ সপ্তাহ আলাদা রাখা।
  • ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ দিতে হবে, ভাইরাসজনিত সংক্রমণ সারতে তার নিজস্ব সময় যথেষ্ট।
  • ঠান্ডা সেঁক ও আর্টিফিশিয়াল টিয়ার্স বা কৃত্রিম চোখের জল উপসর্গ অনুযায়ী উপশম দিতে সাহায্য করে।
  • অ্যালার্জিজনিত কনজাংকটিভাইটিসের জন্য অ্যান্টিঅ্যালার্জিক আই ড্রপ দিতে হবে।
Facebook Comments

Related Articles

Back to top button