মহাকাশ

গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ লক্ষ কিলোমিটার! মিল্কিওয়ে ছায়াপথে দেখা মিলল রহস্যময় বস্তুর

বাদামি বামন। এমনই অদ্ভুত নাম দেওয়া হয়েছে এক রহস্যময় মহাজাগতিক বস্তুর। তীব্র গতিবেগসম্পন্ন এই বাদামি বামনদের নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের শেষ নেই। এবার তাঁরা সন্ধান পেলেন এমনই এক বাদামি বামনের, যার গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ লক্ষ কিলোমিটার। আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথেই (Milky Way Galaxy) দেখা মিলেছে এই তীব্র গতিসম্পন্ন বস্তুটির।

এই নতুন আবিষ্কৃত বাদামি বামনের নাম রাখা হয়েছে ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্ট’। ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’ নামের জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে জানা গিয়েছে এই মহাজাগতিক আশ্চর্যের কথা। এতদিন পর্যন্ত যত বাদামি বামনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে কারও গতিবেগ ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্ট’-এর মতো এত বেশি নয়। সৌরজগৎ থেকে বেশ কাছে পৃথিবী থেকে ৫০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে এটি। যা দেখে উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা। ফেডেরিকো মরোক্কো নামের এক জ্যোতির্বিজ্ঞানীর মতে, এমন প্রাচীন বাদামি বামনের সন্ধান মেলা খুব বড় চমক নয়। কিন্তু এত কাছাকাছি তার সন্ধান মেলাটা খুবই দুর্লভ।

এখনও পর্যন্ত অন্তত ৫০টি বাদামি বামনকে খুঁজে পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। স্বভাববৈশিষ্ট্যে অনেকটা নক্ষত্রের মতো হলেও এদের ভর অনেক কম। ফলে নক্ষত্রের মতো এদের ভিতরে নিউক্লিয়ার ফিউশন হয় না। মোটামুটি ভাবে বৃহস্পতির মতো গ্রহের থেকে বড় ও ছোট আকারের নক্ষত্রের চেয়েও ছোট আকারের হয় বাদামি বামনরা।

নাসা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত সমস্ত বাদামি বামনই কোনও না কোনও বাইনারি সিস্টেমের অন্তর্গত। দুটি নক্ষত্রকে একে অপরে পাক খায় বাইনারি সিস্টেমে। সেখানেই দেখা মেলে বাদামি বামনদের। এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর নিরীক্ষণ থেকে আগামী দিনে মহাকাশের অজানা রহস্যগুলি সম্পর্কে আরও বেশি জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হবে বলেই মনে করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। শীঘ্রই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপকে আকাশে প্রেরণ করতে চলেছে নাসা। আশা, তখন এই ধরনের দুর্লভ মহাজাগতিক বস্তুকে নিরীক্ষণ করা আরও সহজ হতে চলেছে।

Facebook Comments

Related Articles

Back to top button