অবাক বিশ্ব

একসাথে নয়টি সন্তান জন্ম দিলেন মালির এক নারী

একসাথে নয়টি সুস্থ সন্তানের জন্ম দিলেন আফ্রিকার দেশ মালির এক নারী। ডাক্তাররা ধরে নিয়েছিলেন তিনি সাতটি সন্তান প্রসব করতে যাচ্ছেন, কারণ তার স্ক্যান পরীক্ষায় তেমনটিই ধরা পড়েছিল। কিন্তু, সন্তান‌ প্রসবের পর দেখা যায় সাত নয়, নয়টি সন্তানের জন্ম দিলেন হালিমা।

২৫ বছরের হালিমা সিসে মঙ্গলবার একসাথে সন্তানগুলোর জন্ম দিয়েছেন। যার মধ্যে পাঁচজন মেয়ে ও চারজন ছেলে সন্তান। একেকটি শিশুর ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজির ভেতর। তাদের এখন ”দুই থেকে তিন মাস” ইনকিউবেটারের ভেতর রেখে বড় করা হবে। এতগুলো সন্তানের জন্ম হওয়ার পরও মা ও সন্তানরা সুস্থ রয়েছেন।

ইতিহাস বলছে, ২০০৯ সালে আমেরিকায় আট সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন এক মহিলা। একসাথে সর্বাধিক সংখ্যক জীবিত শিশুর জন্ম দেয়ার ক্ষেত্রে এতদিন এটাই ছিল গিনেস বুকে নথিভুক্ত বিশ্বরেকর্ড। একসাথে নয় সন্তানের জন্ম দেয়ার ঘটনা প্রথম প্রত্যক্ষ করা গিয়েছিল ১৯৭০-এর দিকে। ঘটনাটি ঘটে সিডনিতে। এবং দ্বিতীয়টি মালয়েশিয়ায় ১৯৯৯ সালে। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই সব কয়টি শিশু কয়েকদিনের মধ্যেই মারা যায়। তবে, এবার হালিমার নয়টি শিশুই সুস্থ রয়েছে।

মালির রাজধানী বামাকোর হাসপাতালে হালিমা দুই সপ্তাহ থাকার পর ৩০শে মার্চ তাকে মরক্কোয় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, জানান দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রী ড. সিবি।

মরোক্কোর ক্যাসাব্লাঙ্কায় আইন বর্জা ক্লিনিকে যখন তাকে ভর্তি করা হয় তখন তিনি ২৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্তা ছিলেন। তার চিকিৎসক দলটি ৩০ সপ্তাহ পর্যন্ত তার গর্ভাবস্থা টেনে নিয়ে যেতে সক্ষম হন।

স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এধরনের গর্ভধারণ খুবই বিরল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা ঘটে উর্বরতা চিকিৎসার কারণে, যদিও হালিমা সিসের ক্ষেত্রে এটাই কারণ কিনা তা জানা যায়নি।

এধরনের উর্বরতা বৃদ্ধির চিকিৎসা নিলে একজন নারীর মাসিক ঋতুচক্রের সময় একটির বদলে, বেশ কয়েকটি ডিম্বাণু তৈরি হয়।

একসাথে অধিক সংখ্যক শিশু প্রসব মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। যেসব মায়ের চারটির বেশি শিশু গর্ভে এসেছে তাকে সচরাচর গর্ভপাত করার পরামর্শ দেয়া হয়, যদি সেই দেশে গর্ভপাত আইনত বৈধ হয়ে থাকে।

গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহ পুরো হবার আগে অপরিণত অবস্থায় জন্মানো শিশুর নানাধরনের সমস্যা তৈরি হবার ঝুঁকি থাকে, যেমন তাদের ফুসফুস পরিণত হয় না এবং যেহেতু তাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও দুর্বল থাকে। এমনকি সেরিব্রাল পালসি নামে রোগ হবার ঝুঁকি থাকে, যে রোগ চলাফেরায় জটিলতা তৈরি করে।

Facebook Comments

Related Articles

Back to top button