আজ খালি চোখে দেখা যাবে এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি
খালি চোখেই দেখা যাবে এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি
আমাদের প্রত্যেকের কাছেই Andromeda Galaxy (যাকে M31 নামেও ডাকা হয়) একটি অতি পরিচিত গ্যালাক্সির নাম। যার ব্যাস হলো ১ লক্ষ ১০ হাজার আলোকবর্ষ, তার বয়স আনুমানিক ১০০০ কোটি বছর বা 10.1 billion year। পৃথিবীর থেকে তার আনুমানিক দূরত্ব হবে প্রায় ২৫ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে।
এই Andromeda Galaxy আজ পৃথিবী থেকে দেখা যাবে। মোটামুটি সন্ধ্যার পর থেকে।
Andromeda Galaxy একটি. Spiral বা সর্পিলাকার গ্যালাক্সি যা আমাদের মিল্কিওয়ের তুলনায় অনেক বড়। এই Galaxy টি আজ সূর্যাস্তের পর আকাশের উত্তর -পূর্ব দিকের মাঝামাঝি আকাশের Andromeda অঞ্চলে ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হবে, তবে এর আবছা অস্তিত্ব বুঝতে হলে একে আপনার একদম মধ্যরাতে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এখানে মধ্যরাত বলতে রাত ১২ টার পর থেকে রাত ৩ টা বেজে ৩০ মিনিটের মধ্যে। এটি ফজরের পর ভোর রাতে অস্তমিত হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ থেকেও এটিকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ বাংলাদেশের Latitude Point হলো 20°35′ N।
Latitude বিষয়টা আবার কি?
Latitude হলো পৃথিবীর আনুভূমিক বরাবর কয়েকটি কল্পিত অদৃশ্য রেখা, যেটার দ্বারা পৃথিবীর একদম মাঝ বরাবর Equator থেকে পৃথিবীর উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু বরাবর কোণের হিসাব করা যায়। পৃথিবীর Equator 0° থেকে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু বরাবর দুইদিকে ৯০ ডিগ্রি করে কোণ তৈরি করে।
Andromeda Galaxy সূর্যাস্তের পর পূর্ব দিক থেকে উদিত হবে। মাঝরাতে ১২ টা থেকে ৩ টার মধ্যে স্পট আবছা ছায়া দেখা যাবে এবং ভোরে ফজরের ওয়াক্তে তা পশ্চিমে অস্তমিত হবে। যেহেতু উক্ত গ্যালাক্সির Magnitude +3.4, তাই এটি খালি চোখেই আজ দেখা যাবে।
আপনি যদি এই Andromeda Galaxy এর অস্তিত্ব বুঝতে চান তবে আপনার এলাকার আকাশ অবশ্যই ঘুটঘুটে অন্ধকার হতে হবে এবং আকাশে কোনো মেঘ থাকা যাবেনা। এরকম পরিবেশে নিজের চোখজোড়া কে কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় দিন অন্ধকার পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার, এরপর ঠিকই দেখতে পাবেন। তবে চিনতে না পারলে Mobile এ Google Play Store থেকে Stellarim নামে একটি App আছে। চাইলে ওটা নামিয়ে নিয়ে, ওপেন করে, তা আকাশের দিকে তাক করে ধরুণ, Andromeda Galaxy কোথায় আছে তা সে নিজেই বলে দেবে।
গ্রহ বা গ্যালাক্সির Magnitude কি?
Magnitude হলো কোনো একটি গ্রহের বা নক্ষত্রের বা গ্যালাক্সি কতোটা উজ্জ্বল দেখায় তার পরিমাপ।
Magnitude এর মান যতো কম হবে, ততোটাই গ্রহ বা নক্ষত্র উজ্জ্বল হতে থাকবে। যেমনঃ ভেনাস বা শুক্র গ্রহের Magnitude -4.14 তাই এর ঔজ্জ্বল্যতাও অতি তীব্র।