২০টি ব্লু হোলের দেখা মিলল লোহিত সাগরে
সৌদি আরবের লোহিত সাগরে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ২০টি বিশাল আয়তনের গর্ত রয়েছে। এ ধরনের সামুদ্রিক গুহাকে ‘ব্লু হোল’ নামে ডাকা হয়। সৌদি আরবের ব্লু হোলগুলোর অস্তিত্ব ২০২২ সালে আবিষ্কার করা হয়েছে। খবর দ্য ন্যাশনালের।
বর্তমানে ২০টি ব্লু হোলের মধ্যে তিনটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তারা পরীক্ষা করে দেখছেন এসব গুহা পর্যটকদের জন্য নিরাপদ কি-না।
সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ের প্রফেসর কার্লোস দুয়ার্তে মন্তব্য করেছেন, ‘ভূতাত্ত্বিকভাবে লোহিত সাগরের ব্লু হোলগুলো অসাধারণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব ব্লু হোলের জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব এবং ডাইভিং অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে ধারণা করছি, বিশ্বের প্রতিটি স্কুবা ডাইভার তাদের অভীষ্ট গন্তব্যের তালিকায় এগুলোকে নিশ্চিতভাবে রাখবেন।’
সমুদ্র এবং সামুদ্রিক গবেষণার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির বার্তা দিয়ে গত আগস্টেই সৌদি আরবের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ওয়াইল্ডলাইফ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
কিং আব্দুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষক ড. শ্যানন ক্লেইন বলেন, ‘আকার, আয়তন, জীববৈচিত্র্য, সৌন্দর্য এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যে আবিষ্কৃত ব্লু হোলগুলো একটির চেয়ে অন্যটি আলাদা।’
তিনি জানান, কয়েকটি ব্লু হোলের গভীরতা ৪০০ মিটারেরও বেশি। এ ছাড়া বেশির ভাগ ব্লু হোলের গভীরতা এখনো মাপা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, অনাবিষ্কৃত আরও বেশ কিছু ব্লু হোল এখনো রয়ে গেছে।
শ্যানন ক্লেইন বলেন, ‘ব্লু হোল গবেষণার জন্য একটি প্রাকৃতিক ল্যাবরেটরির মতো।’
বর্তমানে সৌদি আরবের ব্লু হোলগুলো পর্যটন ও গবেষণার খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ব্লু হোল কী?
ব্লু হোল হল ইকোসিস্টেম এবং জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ভূতাত্ত্বিক গুহা। এসব গুহা সামুদ্রিক কচ্ছপ, মাছ, সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং অমেরুদণ্ডী প্রাণীর আশ্রয়স্থল। ব্লু হোলগুলো কার্বনেট গঠনের জন্য বিশ্ব জুড়ে-বিশেষ করে বেলিজ, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে পরিচিত।