মহাকাশ

মঙ্গলের মাটিতে পা রাখছে রোভার পারসিভারেন্স

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং দিবাগত রাতে মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করবে নাসার রোভার ল্যান্ডার পারসিভারেন্স। রাত ২টা ৫৫ মিনিটে মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করবে মহাকাশযানটি। ল্যান্ডারটি অবতরণ করবে মঙ্গলে একটি খাদ জেজেরো ক্রেটারে। পুরো ব্যবস্থাটি হবে স্বয়ংক্রিয়। অর্থাৎ মঙ্গলে অবতরণে যাবতীয় দায়িত্ব পারসিভারেন্সকেই পালন করতে হবে। কারণ, পৃথিবী থেকে মঙ্গলের যে দূরত্ব, সেখান থেকে আলোর গতিতে কোনো সঙ্কেত আসতে সময় লাগে এগারো মিনিট। তাই মঙ্গলপৃষ্ঠের অবতরণের আগমুহূর্তগুলো চাইলেও পৃথিবী থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। মহাকাশযানটির সঙ্গে সংযুক্ত কম্পিউটার তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে একে নিয়ন্ত্রণ করবে।

নাসার পরিচালনায় মঙ্গলযানটি পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ২০২০ সালের ৩০ জুলাই। প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসের দীর্ঘযাত্রার অবসান হতে যাচ্ছে আছে। বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ১৫ মিনিট থেকে নাসা অবতরণ দৃশ্যটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।

পারসিভারেন্স যানটি আকার-আকৃতিতে এর পূর্বসূরী কিউরিওসিটি যানের মতো হলেও প্রযুক্তির উৎকর্ষে রয়েছে অনেক এগিয়ে। তাছাড়া এবারই প্রথম এতে একটি হেলিকপ্টারও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

সবকিছু ঠিক থাকলে ক্যালিফোর্নিয়ার সময় দুপুর ১২ টা ৫৫ তে এটি মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করবে (বাংলাদেশ সময় রাত প্রায় তিনটা)। বায়ুমন্ডলে প্রবেশের পর সাত মিনিটে ধাপে ধাপে নানাবিধ প্রক্রিয়ায় গতি হ্রাস করে এটি মঙ্গলের পৃষ্ঠে নেমে আসবে (চিত্র দ্রষ্টব্য)।

FB IMG 1613644470115
ল্যান্ডিং এর ধারণা চিত্র

এই সাতমিনিট সময়ের কোনো প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা হয়ে গেলে পুরো মিশনটি ভেস্তে যেতে পারে। কারণ পুরো প্রক্রিয়াটি ঘটবে স্বংয়ক্রিয় ভাবে এবং পৃথিবী থেকে কোনো ধরণের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না (কারণ পৃথিবী থেকে মঙ্গলে কোনো সংকেত পাঠাতেই লাগবে ন্যুনতম তিন মিনিট)। এই সাতটি মিনিট রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করবেন সবাই। এই যে একটা অসহায় অবস্থা, এই কারণে এই সাতমিনিটকে বলা হয় সেভেন মিনিটস অব টেরর (seven minutes of terror)। বাংলায় বলা যেতে পারে সাত মিনিটের শঙ্কা।

নাসা সাত মিনিটের শঙ্কা ইভেন্টটি সরাসরি সম্প্রচার করবে। সরাসরি সম্প্রচারের লিংকঃ

Facebook Comments

Related Articles

Back to top button