মহাকাশ

বিশাল গ্রহাণু যাবে পৃথিবীর কাছ দিয়ে

এমনিতেই করোনা মহামারির ধাক্কায় টালমাটাল গোটা পৃথিবী। এর মধ্যে বিশাল আকারের একটি গ্রহাণু পৃথিবীর কাছাকাছি আসার খবরে অনেকেই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্রহাণু নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘২০০১ এফও ৩২’ নামের গ্রহাণুটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এটি ২১ মার্চ নিরাপদ দূরত্বে থেকেই পৃথিবীকে অতিক্রম করবে।

পৃথিবীর কাছ দিয়ে সব সময়ে বিভিন্ন আকারের গ্রহাণু অতিক্রম করে। তবে নাসার পক্ষ থেকে সব গ্রহাণু নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয় না। বিশাল আকারের ‘২০০১ এফও ৩২’ নামের গ্রহাণু নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার কারণে সবাইকে শান্ত করতে নাসার পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দ্য নাসা অ্যাস্টরয়েড ওয়াচ নামের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল সোমবার একটি বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘২০০১ এফও ৩২’ নিরাপদে ১৩ লাখ মাইল দূর দিয়ে পৃথিবীকে অতিক্রম করবে। এটি নিরাপদ দূরত্ব। চাঁদ থেকে পাঁচ গুণ দূর দিয়ে যাবে গ্রহাণুটি। তাই এটি পৃথিবীতে আঘাত হানার কোনো ঝুঁকি নেই।

নাসার জেপিএলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রহাণুটি ২০০১ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। গবেষকেরা দুই দশক ধরে এর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানেন। তবে গ্রহাণুটি বিশাল আকারের কারণে সবার নজর কেড়েছে। এটির ব্যাস প্রায় এক মাইল। তবে ব্যাস নিয়ে কিছু অনিশ্চয়তা থেকে গেছে।

পৃথিবীর কাছাকাছি আসা গ্রহাণুর পর্যবেক্ষণ নিয়ে নাসা ও অন্যান্য মহাকাশ সংস্থাগুলো প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছে। তবে, গ্রহাণু নিয়ে এখন পর্যন্ত উদ্বেগে পড়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। অবশ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, দুশ্চিন্তা করার কিছু থাকলে সেটি অ্যাপোপহিস নামের একটি গ্রহাণু নিয়ে করা যেতে পারে। ২০২৯ সালে ওই গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে পারে। তবে তা নিয়ে ঘুম নষ্ট করার কিছু নেই।

সিনেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, নাসার গবেষকেরা বিপজ্জনক গ্রহাণুগুলোর গতিপথ পরিবর্তন করে দিতে ‘ডিএআরটি’ নামের একটি বিশেষ মিশন নিয়ে কাজ করছেন।

Facebook Comments

Related Articles

Back to top button