অন্যান্য

ফেস রিকগনিশন – আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির এক অভিনব কৌশল

কয়েক দশক ধরে ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’ প্রযুক্তি সব থেকে এডভান্সড সিকিউরিটি সিস্টেম হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।

সিনেমা, ব্যাংক-ব্যালেন্স এমনকি সরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই প্রযুক্তি। তবে আপনি কী জানেন, ফেস ডিটেকশন আর ফেস রিকগনিশন দুটো এক জিনিস নয়!

ফেস ডিটেকশনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার মনে করে “হ্যাঁ, এটা একটা মুখ”
অন্যদিকে ফেস রিকগনিশনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার বুঝতে পারে “হ্যাঁ, এটাই তোমার মুখ”

উদাহরণস্বরূপ, স্ন্যাপচ্যাটে ব্যবহার করা হয় ফেস ডিটেকশন প্রযুক্তি। আর ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় ফেসবুক ও বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থায়।

মুখের অবয়ব চেনার প্রক্রিয়াটি মানুষ ছোটবেলা থেকে শিখে ফেলে। কিন্তু কম্পিউটারের জন্য এটি বেশ জটিল একটি প্রক্রিয়া। মানুষের মুখের কথা ভাবলে সবার আগে মাথায় কী আসে? চোখ, নাক, ঠোঁট এগুলোই তো। কিন্তু এগুলো ছাড়াও কম্পিউটার মুখের প্রায় ৮০টি আলাদা-আলাদা উপাদান শনাক্ত করতে পারে। যেমন  অক্ষিকোটরের গভীরতা, গালের হাড়ের উচ্চতা, ছোখের দূরত্ব, চোয়ালের গড়ন ইত্যাদি। এই উপাদানগুলোর ডেটা বিস্তারিতভাবে কম্পিউটারের মেমোরিতে সংরক্ষিত থাকে।

কিন্তু মাঝেমধ্যে ফেস রিকগনিশনের ক্ষেত্রে  নানাবিধ জটিলতাও দেখা দেয়। যেমন বয়স বৃদ্ধির সাথে কিংবা দূর্ঘটনাজনিত কারণে মুখে ভিন্নতা চলে আসতে পারে। সেসব ক্ষেত্রে ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি ভালভাবে মুখটিকে চিনতে পারে না।

আবার, প্রতিবার একই ভাবে ক্যামেরার দিকে না তাকালেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সময়ের সাথে বিকশিত হচ্ছে আরো উন্নত প্রযুক্তি। ফেস রিকগনিশনে টু-ডির বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে থ্রি-ডি প্রযুক্তি। ফলে যে ভাবেই আপনি সেন্সরের দিকে তাকান না কেন, কম্পিউটার বুঝে নেবে “এটাই আপনার চেহারা”

আধুনিক প্রযুক্তি আপনার চেহারার উপাদানগুলোকে সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্মতর এককে রেকর্ড করে ফেলতে পারে। যার মাধ্যমে দুজন আইডেন্টিকাল জমজকেও খুব সহজেই আলাদা করে ফেলতে পারে এই প্রযুক্তি। আধুনিক ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি প্রায় সকল পরিস্থিতিতেই ১০০ ভাগ নির্ভুলতার দিকে আগাচ্ছে। এ কারণে FBI, ICE এর মত এজেন্সিও সম্পূর্ণ নির্ভরশীল রয়েছে এই প্রযুক্তির উপর।

Facebook Comments

Related Articles

Back to top button